নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর: ‘রিয়াজ আখতার (Mohammed Riyaz Akhtar) ও মহম্মদ গোস (Mohammed Gos) দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal), দোকানে ঢুকেছিল জামা তৈরির মাপ দিতে। দোকানে সেই সময় ছিল কানহাইলালের এক সহকর্মী এবং আমি। কানহাইলাল (Kanhaiya Lal), ফিতে দিয়ে রিয়াজের মাপ নিচ্ছিলেন। মাথা নীচু করে দেখতে গিয়েছিল লম্বা কতটা।
এমন সময় পাঞ্জাবির পকেট থেকে লকলকে অস্ত্র বের করে দুহাত দিয়ে হাতল ধরে কানহাইয়ার গলায় কোপ মারে। সঙ্গে সঙ্গে ধড় থেকে মাথা ছিটকে মাটিতে পড়ে। পাঠার মাথা কাটার পর শরীরটা(body) যেভাবে ছটফট করছিল, কানহাইয়ার (Kanhaiya Lal), দেহ ঠিক একই ভাবে ছটফট করছিল। চোখের সামনে ওই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আর থাকতে পারছিলাম না। চোখ বন্ধ করে ফেলি। বুঝতে পারছিল পায়ের তলা রক্তে ভিজে যাচ্ছে।
পরে শুনতে পাই বিজয়োল্লাস। রাস্তায় কোনওরকমে বেরিয়ে দেখি, কানহাইটার কাটা মাথা নিয়ে হর্ষোল্লাসে মেতে উঠেছে রিয়াজ আখতার(Mohammed Riyaz Akhtar) । সেই হাসি যেন আরও ভয়ঙ্কর। কোনও রকমে নিজেকে সামলে বাড়ি ফিরি। সারারাত ঘুমোতে পারিনি। এখনও রাতে মাঝে মধ্যে ওই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ’
এমন এক হাড়হিম বিবরণ দিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী (eye witness) । একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঘটনার পর রিয়াজ এবং মহম্মদ গোস বাইকে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমি চিৎকার করি। কিন্তু ভয়ের চোটে কেউ আর এগিয়ে আসার সাহস পায়নি।
আরও পডুন উদয়পুরে নৃশংস খুনের ঘটনার দুই পাণ্ডা গ্রেফতার, জারি ১৪৪ ধারা
