নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভারতে মানবাধিকার বেড়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি আমেরিকা নজরে রাখছেন বলে জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিতভাবে বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেননি।
কিছুদিন আগেই মার্কিন প্রতিনিধি ইলহান ওমর মানবাধিকার ইস্যুতে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন। তার কয়েকদিন পরেই মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ব্লিঙ্কেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ভারতে নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা সেই দিকে নজর রেখেছি। আমরা জেনেছি, সরকার, কিছু পুলিশ ও কারাগারের আধিকারিকরা ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘিত করছে।
ওমর গত সপ্তাহে ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নয়াদিল্লি মুসলিমদের জন্য কী করছে, তা একবার খতিয়ে দেখার প্রয়োজন এসেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করানো হয়। ওমর এই আইনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারতে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পাশাপাশি ওমর ২০১৯ সালে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করেন। ওমর অভিযোগ করেছিলেন, ভারত সরকার ও প্রশাসনের আধিকারিকরা অনেকক্ষেত্রে মুসলিমদের অধিকার ক্ষুন্ন করছে। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের কাছ থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ারও সমালোচনা করেন ওমর।
নাগরিকত্বের আইন নিয়ে দেশের ভিতরে ও বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ভারত সরকারকে। এই আইনটি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন, শিখ ও পার্সিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।