নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার রাতেই জম্মু ও কাশ্মীরের চৌকিবাল-তাংধার সড়কে প্রবল তুষারঝড় ও ধসে আটকে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক। পড়ে জানা যায় ৩০ জন আটকে রয়েছেন প্রবল তুষারধসের কারণে। জানা যাচ্ছে, প্রবল তুষারপাতের মধ্যেই পরপর দুটি এলাকায় ধস নামে। মাঝের অংশে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন। এমনটাই জানিয়েছিল একাধিক সংবাদ সংস্থা। খবর পেয়েই দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যেই প্রত্যেককেই উদ্ধার করতে পেরেছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরের জাতীয়সড়কের এসএম হিল ও খুনি নালার মধ্যবর্তী এলাকায় আটকে পড়েছিল বেশ কয়েকটি গাড়ি। তাতেই আটকে পড়েছিলেন সাধারণ নাগরিকরা। সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এনসি পাসের কাছে পৌঁছে যায় বাহিনী। ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত তুষারধস উদ্ধারকারী দল এবং জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্সের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়। দুটি দল খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকা থেকে ১৪ জন নাগরিককে উদ্ধার করে নীলমের দিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়।
অন্য দলটি বাকি ১৬ জনকে এনসি পাসের কাছে সেনা ছাউনিতে নিরাপদে নামিয়ে নিয়ে আসেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাতেই উদ্ধার করার পর ওই নাগরিকদের খাবার, চিকিৎসা পরিষেবা এবং থাকার জায়গা দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার রাস্তায় বরফ সরিয়ে মোট ১২টি গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। সমগ্র উদ্ধারকাজটা চলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে। কাশ্মীরে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ও প্রবল তুষারপাতের মধ্যেও সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় বাজপাখির মতো নজর রাখছেন। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক ও পর্যটকরা বিপদে পড়লেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন উদ্ধারকাজে।