নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: উত্তরপ্রদেশে আট কৃষকের মৃত্যুর অটপ্সি রিপোর্টে গলাবুক জলে ডুবে যোগী সরকার। রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে পিষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে ওই আট কৃষকের। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, এবং মাথায় রক্তজমাট বেঁধে যাওয়াই মৃত্য়ুর মূল কারণ। মৃত কৃষকদের শরীরে বুলেটের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
কৃষকেদর সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চার কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন কনভয়ের চাকায় পিষ্ট হয়ে। এরা হলেন নক্ষত্র সিং, দলজীৎ সিং, লাভপ্রীত সিং, গুরবিন্দর সিং। অটপ্সি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৮ বছরে লভপ্রীত সিংকে কনভয়ের থাকা গাড়ি কয়েক হাত দূরে টেনে নিয়ে যায়। একই ভাবে মৃত্যু হয়েছে দলজিৎ সিংয়ের। কনভয়ের গাড়ি তাঁকেও বিক্ষোভস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে, গুরবিন্দর সিংকে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করার ফলে তাঁর মৃ্ত্যু হয়। বাকি চারজনের মৃ্ত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে। এরা সকলেই বিজেপি শিবিরের লোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মঙ্গলবার লখনউ যাওয়ার কথা।
চাপে পড়ে যোগী সরকার এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের ৪৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। অন্যদিকে আহতরা পাবেন ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। বিক্ষোভের আগুন যাতে ছড়িয়ে না পরে তার জন্য লখিমপুরে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
উল্লেখ করা যেতে পারে, লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে রবিবার। রবিবার সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। একই অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের । উপমুখ্যমন্ত্রীকে আনতে তাঁর কনভয় নিয়ে যাচ্ছিলেন ছেলে। ওই রাস্তাতেই কৃষকেরা আগে থেকেই ধর্না-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিল। সূত্রের খবর, উপমুখ্য়মন্ত্রীর কনভয় সেই বিক্ষোভ সমাবেশে ঢুকে পড়ে। কনভয়ের চাকায় পিষ্ট হন আন্দোলনরত দুই কৃষক। আর এই দুর্ঘটনা বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে।