নিজস্ব প্রতিনিধি, জিন্দ (হরিয়ানা): অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের মতো ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ গুঁড়িয়ে দেওয়ায় কোনও অনুশোচনা নেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের। রবিবার হরিয়ানার জিন্দে এক অনুষ্ঠানে বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়াকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অযোধ্যার বাবরি ছিল দাসত্বের প্রতীক।’ একই সঙ্গে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকে দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হিসাবেও আখ্যা দিয়েছেন সঙ্ঘ প্রধান।
লোকসভা ভোটের মুখে তিন দিনের সফরে এদিন হরিয়ানায় পা রাখেন মোহন ভাগবত। আর প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে্ই তিনি বুঝিয়ে দেন, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের মতো ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ গুঁড়িয়ে দিয়ে অন্যায় করেননি করসেবকরা। সঙ্ঘ প্রধানের কথায়, ‘অযোধ্যায় দাসত্বের প্রতীক বাবরি মসজিদ ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছেন করসেবকরা। কিন্তু সেখানে অন্য কোনও মসজিদে আঁচড়টুকু কাটেননি। এমনকি করসেবকরা কোথাও কোনও দাঙ্গা করেননি।’
রামমন্দির নির্মাণের স্বপ্নপূরণ হওয়ায় কতটা খুশি কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা তাও বোঝা গিয়েছে ভাগবতের কথায়। তিনি বলেন, ‘রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই চলেছে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। রামমন্দির গড়ে উঠেছে। কিন্তু এখনও বহু কাজ অধরা। সেই অধরা স্বপ্নপূরণ করতে হবে।’ নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতি যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা উল্লেখ করে ভাগবত বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সংস্কৃতি মুছে গিয়েছে। কিন্তু হিন্দু সংস্কৃতি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ নানা দেব-দেবীতে বিশ্বাস করেন, পুজো করেন। নানা ভাষা তাঁদের। কিন্তু সবাই নিজেদের এক সমাজের বাসিন্দা হিসাবেই ভাবেন। যা গোটা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়ের।’