নিজস্ব প্রতিনিধি, ইম্ফল: প্রচণ্ড কুয়াশার প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করেই সোমবার সকালে পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই থেকে শুরু হল দ্বিতীয় দিনের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। কাংগপোকোপের ব্রিগেডিয়ার থমাস ময়দানে যাত্রার সাময়িক বিরতি ঘটে। সেখানে দলীয় কর্মী-নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। এর পরে যাত্রা থামবে সেনাপতির কাটোং ময়দানে। সেখানে প্রকাশ্য সভা করবেন রাহুল। মধ্যাহ্নভোজনের পরে দুপুর দুটো থেকে ফের শুরু হবে যাত্রা। বিকেল সাড়ে চারটেয় মাও গেটে গিয়ে থামবে। রাতেই নাগাল্যান্ডে প্রবেশ করবেন পদযাত্রীরা। রাত্রিবাস হবে সুজামা ময়দানে।
গতকাল রবিবার মণিপুরের থাউবাল থেকে শুরু হয়েছিল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। প্রথম দিনেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সাড়া মিলেছে। যাত্রা পথে রাহুলকে একবার চোখের দেখা দেখতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। অনেকেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে রাহুলের কাছে চলে আসেন এবং নিজস্বী তোলেন। বিশেষ করে তরুণ ও যুব প্রজন্মের উৎসাহ ছিল দেখার মতো।
এদিন সেকমাই থেকে যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনে রাহুলকে বাগত জানাতে মণিপুরি লোকনৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। গত ৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলা অশান্তিতে নাভিশ্বাস ওঠা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অংশ নেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। অনেকেই গত ৮ মাস ধরে নারকীয় জীবনযাপনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে রাজীব তনয় বলেন, ‘আপনাদের যন্ত্রণা, ব্যথা বুঝতে পারছি। গত ৮ মাস ধরে আপনাদের সঙ্গে ঘটে চলা অন্যায়ের প্রতিকারের চেষ্টা করা হবে।’