ওয়াশিংটন : আজাদি কি অমৃত মহোৎসবে ভারতকে শুভেচ্ছা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারত আমেরিকার ‘অপরিহার্য সহযোগী’ বলে সোমবার মন্তব্য করলেন তিনি। প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্বের দুই বৃহত্তম গণতন্ত্রিক দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন বাইডেন।
প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ-চিন সাগরে লাগাতার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে চিন। শি জিনপিং প্রশাসনের নির্দেশে লালফৌজের এহেন আগ্রাসনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (united state of America)। তাই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চিনকে চাপে রাখতে তৈরি হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এই প্রেক্ষাপটে এদিন বাইডেন বলেন, “আজ ১৫ আগস্ট প্রায় চল্লিশ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত-সহ বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি পালন করছেন। মহাত্মা গান্ধীর দেখানো সত্য ও অহিংসার পথে ভারতীয় গণতন্ত্রের এই সফরকে আমেরিকা সম্মান জানায়।”
উল্লেখ্য, এবছর ভারত-আমেরিকা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বর্ষপূর্তি। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বাইডেন বলেন, “দুই দেশের মানুষের মধ্যে থাকা গভীর সম্পর্কের জেরে আমাদের সহযোগিতা এত মজবুত। আমেরিকায় থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনিরা আমাদের দেশকে আরও সৃজনশীল ও মজবুত করেছে।” এদিন, ভারতীয় জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও (Anthony Blinken)।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে জাপানে অনুষ্ঠিত কোয়াড (Quad) বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে চিনা আগ্রাসনই আলোচনার মূল বিষয় ছিল। ওই সফরকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেন মোদি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের দাপট রুখতে তৈরি হয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত- এই চারটি দেশের জোট কোয়াড (QUAD)। ওই বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নতি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য যৌথ উদ্যোগে পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়েও আমেরিকা-চিন বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে আরও কাছে পেতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন।