নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: রেল আর দুর্ঘটনা যেন পরস্পরের সমার্থক। শুক্রবার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জনের বেশি যাত্রী। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও সাড়ে তিনশোর বেশি যাত্রী। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক কালে একাধিক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই দুর্ঘটনার ইতিহাস-
৭ জুলাই ২০১১
উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার কাছে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ছাপরা-মথুরা এক্সপ্রেসের। রাত একটা ৫৫ মিনিট নাগাদ লেভেল ক্রসিংয়ের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা মেরে আধ কিলোমিটারের বেশি টেনে নিয়ে যায় দ্রুতগতির এক্সপ্রেস ট্রেনটি। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৬৯ জন।
৩০ জুলাই ২০১২
নেলোরের কাছে দিল্লি-চেন্নাই তামিলনাডু এক্সপ্রেসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারান ৩০ জন।
২৬ মে ২০১৪
উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবীর নগরের কাছে খালিলাবাদে স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে গোরখপুরগামী গোরখপুর ধাম এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২৫ জন। গুরুতর জখম হন ৫০ যাত্রী।
১৫ মার্চ ২০১৫
উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলির বাচরাওয়ান স্টেশনের কাছে লাইনচ্যূত হয় দেহরাদুন থেকে বারাণসীগামী জনতা এক্সপ্রেস। মারা যান ৩০ জন। জখম হন দেড়শো যাত্রী।
২০ নভেম্বর ২০১৬
কানপুরের পুখরায়ান স্টেশনের কাছে লাইনচ্যূত হয় ১৯৩২১ ইন্দোর-পটনা এক্সপ্রেস। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেড়শো জন। গুরুতর আহত হন আরও দেড়শো জন।
১৯ অগস্ট ২০১৭
উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের কা্টাউলির কাছে হরিদ্বার-পুরীর মধ্যে চলাচলকারী উৎকল এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যূত হয়ে প্রাণ হারান ২১ যাত্রী। আহত হয়েছিলেন ৯৭ জন।
১৩ জানুয়ারি ২০২২
পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের কাছে বিকানির-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ১২টি বগি লাইনচ্যূত হয়। প্রাণ হারান ৯ জন। গুরুতর জখম হয়েছিলেন ৩৬ জন।