নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: বিজেপিকে চাপে ফেলতে শুক্রবার জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করল নীতীস কুমার প্রশাসন। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ১৩ কোটি ১০ লক্ষের মতো। তার মধ্যেব ৩৬ শতাংশই অতি পিছড়ে বর্গের। অর্থাৎ আর্থ-সামাজিক-শিক্ষা-সহ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া। ২৭.১ শতাংশ পিছড়ে বর্গের অন্তর্ভুক্ত। তফশিলি জাতিভুক্তের সংখ্যা ১৯.৭ শতাংশ। তফশিলি উপজাতির সংখ্যা ১.৭ শতাংশ। সাধারণ শ্রেণিভুক্তের সংখ্যা ১৫.৫ শতাংশ।
আগামী লোকসভা ভোটে শুধুমাত্র উচ্চশ্রেণির ভোটে যাতে বিজেপি মাজিমাত করতে না পারে, তা মাথায় রেখেই রাজ্যে জাতিগত জনগণনার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিগত গণনার কাজে বাগড়া দেওয়ার জন্য পটনা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রথমে স্থগিতাদেশ জারি করলেও পরে জাতিগত গণনার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দেয় পটনা হাইকোর্ট। তারপর দেশের শীর্ষ আদালতের দরজাতেও করা নিয়েছিল বিজেপি বান্ধ সংগঠনগুলি। যদিও জাতিগত গণনার উপরে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। বর্তমানে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
তার মধ্যেই সোমবার জাতিগত গণনার রিপোর্ট প্রকাশ করে দিয়েছে নীতীশ কুমার সরকার। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে যাদব সম্প্রদায়ের সংখ্যা হল, ১৪.২৭ শতাংশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, জাতিগত গণনার রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পরে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য আরও সংরক্ষণের দাবি জোরালো হয়ে উঠবে। বর্তমানে ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। ওবিসি সংরক্ষণের সীমা বাড়ানো হলে, ভোটবাক্সে তার ফায়দা লুটবেন নীতীশ কুমার-তেজস্বী যাদবরা।