নিজস্ব প্রতিনধি: বাংলার পরে এবার বিহারেও জোটের ওপর থেকে আস্থা হারাল জাতীয় কংগ্রেস দল। আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট যে শুধুমাত্র খাতায় কলমে বিদ্যমান, বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই মঙ্গলবার আরও একবার সেটা প্রমাণিত হল। কয়েকদিন পরেই বিহারের দুটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর সেই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সামনে এসেছে কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল তথা আরজেডির মধ্যেকার বিবাদ। দুদিন আগে আরজেডির তরফ থেকে বিহারের এই দুই উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কার্যত কংগ্রেস না জানিয়েই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে আরজেডি। এবার তারই পাল্টা দিতে ওই দুই বিধানসভা আসনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার বিকালে বিহার কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি মদন মোহন ঝা বিহারের দুটি বিধানসভা আসন কুশেশ্বরস্থান ও তারাপুরের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। কংগ্রেসের তরফ থেকে কুশেশ্বরস্থানের জন্য প্রার্থী করা হয়েছে অতীরেক কুমারকে এবং তারাপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন রাজেশ কুমার মিশ্র। এদিন মদন মোহন ঝা প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি কোনও রাখঢাক না রেখেই ঘোষণা করেন যে কুশেশ্বরস্থান ও তারাপুর, এই দুটি উপনির্বাচন কেন্দ্রের জন্য কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রার্থী দেওয়া হল এবং তাঁরা আরজেডির তরফ থেকে ঘোষণা করা প্রার্থীর বিপক্ষেই এই উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সঙ্গে যে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের এই জোট খুব একটা সুদূরপ্রসারী হবে না সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল। কংগ্রেস দলের তরফ থেকে ক্রমশ চাপ দেওয়া হচ্ছিল যেন আরজেডি অন্তত কুশেশ্বরস্থানের জন্য তাদের দলের কোনও সদস্যকে প্রার্থী হিসাবে দেয়। কারণ ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু দুদিন আগে হঠাৎ করেই আরজেডি কার্যত বিনা নোটিশেই বিহারের ওই দুই উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেয়। এরপরে আর কোনও রাখঢাক রাখেনি কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেই কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দেন কংগ্রেসের ঘোষণা করা প্রার্থীরা আগামী উপনির্বাচনে আরজেডির ঘোষিত প্রার্থীদের সঙ্গে প্রকাশ্য লড়াইয়ে নামছে।