নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: প্রথম দফার ভোট শেষ না হতেই ক্ষমতা হাতছাড়ার আশঙ্কায় ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটার অভিযোগ উঠেছে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। রাজস্থান-সহ বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করে হিন্দুদের সুড়সুড়ি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দলে থেকেও বুক চিতিয়ে মোদির ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজস্থানের বিকানিরের বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি উসমান গনি। আর দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতার মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর মূল্য চোকাতে হল তাঁকে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবারই রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণের অছিলায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে মনে পুষে রাখা ঘৃণা উগরে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দুত্বের আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ংধ্যে বিলি করে দেবে। মোদির ওই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন বিকানিরের বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি উসমান গনি। দিল্লির এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মোদির ওই মন্তব্যে মুসলিমরা যথেষ্ট মর্মাহত। বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে গিয়ে সংখ্যালঘুদের প্রশ্নের মুখে আমাকে পড়তে হয়েছে। তাঁরা একটা কথাই বলছেন, ‘যে দলের সর্বোচ্চ নেতা আমাদের মণেপ্রাণে ঘৃণা করেন, সেই দলকে কেন ভোট দেব।’
গত বছর মরুরাজ্যে বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেও এবার যে দলের পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূল নয়, তাও জানিয়ে দেন গনি। রাজস্থানের ২৫ লোকসভা আসনের মধ্যে ৩-৪টি আসনে বিজেপি হারতে পারে বলেও জানিয়ে দেন ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত বিকানিরের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি। আর ওই সাক্ষাৎকারের পরেই দলের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ এনে গনিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।