নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মুখেই যতই স্বচ্ছতার বুলি আওড়ান না কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহরা যে ‘দাগ আচ্ছে হ্যায়’তে বিশ্বাসী, তার প্রমাণ মিলেছে। চলতি লোকসভায় অর্থাৎ সপ্তদশ লোকসভায় বিজেপির ১১৮ জনের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ফৌজদারি ধারায় মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আবার ৮৭ জনের মধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির গুরুতর ধারায় মামলা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির ৫ সাংসদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছে।
বেসরকারি নির্বাচনী নজরদারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের তরফে শুক্রবার লোকসভার বিদায়ী সাংসদদের অপরাধ ও আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিদায়ী সাংসদদের ৫১৪ জনের দেওয়া হলফনামা খতিয়ে দেখে তৈরি হয়েছে ওই রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, ৫১৪ সাংসদের মধ্যে ২২৫ জন বা ৪৪ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এদের মধ্যে ১৪৯ জন বা ২৯ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা রয়েছে। ওই গুরুতর ধারার মধ্যে রয়েছে খুন, খুনের চেষ্টা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, অপহরণ এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ। ৯ জনের মধ্যে খুনের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ৫ জনই আবার বিজেপির। বাকি চার জনের মধ্যে কংগ্রেস, বসপা, ওয়াইএসআরের একজন করে রয়েছেন। এছাড়া এক নির্দলও রয়েছেন। খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা চলছে ২৮ জনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে মোদি-শাহের দলেরই ২১ জন। অর্থাৎ ক্ষমতা দখল করতে মোদি-শাহরা পেশিশক্তির উপরেই বেশি ভরসা করেছেন।
এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদায়ী সাংসদদের মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগে মামলা চলছে। তার মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা ঝুলছে। অর্থাৎ ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তিন আইন প্রণেতার বিরুদ্ধে।