নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: চেন্নাইয়ের একটি প্রাথমিক স্কুলের বিরুদ্ধে উঠল জাতের নামে বজ্জাতির অভিযোগ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার খবর অনুসারে, উচ্চবর্ণের পড়ুয়াদের থেকে তফাতে বসতে হয় নিম্নবর্ণের পডুয়াদের। খবর ফাঁসে নড়ে চড়ে বসে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তারা চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, অবিলম্বে এই নিয়ম বাতিল করতে হবে। যদিও এই সামান্য নির্দেশিকায় অখুশি সেখানকার বিশিষ্টজনেরা।
জানা গিয়েছে, পডুয়াদের হাজিরা খাতায় নামের পাশে লিখতে হয় তারা কোন সম্প্রদায়ভুক্ত। স্কুলের এটাই দস্তুর। আর এটা বেশ কয়েক বছর ধরেই হয়ে আসছে। কিন্তু কোনও কারণে জাতের নামে বজ্জাতির খেলা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এখন উল্টো সুরে গান গাইছেন।
তাঁর বয়ান অনুসারে, নামের পাশে পড়ুয়াদের জাত লেখার উদ্দেশ্য উচ্চবর্ণের সঙ্গে নিম্নবর্ণের তফাৎ তৈরি করা বা শ্রেণিকক্ষে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের আলাদা বসার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। স্কুলের প্রশাসনিক (অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ) কাজের সুবিধার জন্যই এটা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষিকা এও বলেছেন, পডুয়ারা জানেই না তারা কে কোন সম্প্রদায়ের।
যদিও তাঁর এই ছেঁদো যুক্তি মানতে নারাজ সেখানকার বিশিষ্টজনেরা।
এই ব্যাপারে চেন্নাই গ্রেটার কর্পোরেশনের ডেপুটি কমিশনার বলেছেন, সমস্যা একটা তৈরি হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, এই ভাবে স্কুল চালানো যাবে না। আর পাঁচটা স্কুল যেভাবে রাজ্য সরকার ঘোষিত নিয়ম মেনে চলে, ওই স্কুলকেও সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের সহকারি শিক্ষা অধিকর্তাকে ওই স্কুল-সহ সব স্কুল পরিদর্শনে যেতে বলা হয়েছে।