নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়পুর: রাখঢাক না রেখে সরাসরিই মদ্যপানের পক্ষে দাঁড়ালেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি বিধায়ক নানকিরাম কানওয়ার। কোরবা জেলার রামপুর বিধানসভা আসনের বিধায়কের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পুলিশ যদি মদ উদ্ধারে বাড়িতে হানা দেয়, তাহলে বেঁধে রেখে পেটান।’ একজন আইনপ্রণেতা হয়ে কীভাবে তিনি পুলিশকে মারধর করার নিদান দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মদ্যপানে অভ্যস্ত আদিবাসীদের ভোট পেতেই খোলাখুলি মদ বিক্রি ও মদ্যপানকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে কোরকোমায় দলের আদিবাসী সংগঠনের এক সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রামপুরের বিধায়ক নানকীরাম কানওয়ার। আদিবাসীদের খোলাখুলি মদ খাওয়ার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের মদ্যপানের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কোনও অধিকার নেই আদিবাসিদের বাড়িতে ঢুকে মদ বাজেয়াপ্ত করার। এর পরে যদি মদ বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ কোনও আদিবাসী বাড়িতে হানা দেয় তাহলে ওই পুলিস কর্মীদের বেঁধে রেখে পেটান। এমন পেটাবেন যে সারাজীবন মনে রাখে।’
নানকীরাম যখন খোলাখুলি মদ্যপানের পক্ষে সওয়াল করছেন তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নারায়ণ চান্দেল ও রায়গড়ের বিজেপি সাংসদ গোমতী সাউ। তাঁরা দুজনেই দলের বিধায়কের পুলিশকে পেটানোর নিদানকে সমর্থন জানিয়েছেন। নানকীরামের এমন বেফাঁস মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি নেতারা আগামী বছর বিধানসভা ভোটে জামানত বাঁচাতে আদিবাসীদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন। তাতে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসীরা এখন পুলিশকে বন্ধু ভাবেন।’