নিজস্ব প্রতিনিধি: ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তা রানা কাপুরের বিস্ফোরক বয়ান ঘিরে তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে তিনি বলেছেন, চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেনের একটি ছবি তাঁকে কিনতে বাধ্য করেনে সনিয়া-তনয়া প্রিয়ঙ্কা গান্ধি।
বিস্ফোরক বয়ানের শেষ এখানেই নয়। রানা কাপুরের নিশানায় তৎকালীন পেট্রোলিয়ামন্ত্রী মুরলি দেওরা। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, মুরলি দেওরা তাঁকে (রানা কাপুরকে) বলেছিলেন, মকবুল ফিদা হুসেনের ছবি না কিনলে গান্ধি পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি তো হবেই না, পদ্মভূষণও জুটবে না। ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্তার বয়ান অনুযায়ী, মকবুল ফিদা হুসেনের ছবি বিক্রি করে যে টাকা আসবে, সেই টাকা সনিয়ার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হবে।
ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তা জানিয়েছেন, মকবুল হুসেনের ছবি কেনার জন্য তাঁকে দিতে হয়েছিল দু কোটি টাকা। টাকা দিয়েছিলেন মুরলি দেওরার ছেলে মিলিন্দ দেওরার হাতে। উল্লেখ করা যেতে পারে, যে সময়ের ঘটনা বলা হচ্ছে, সেই সময় বিশেষ একটি রোগে আক্রান্ত হন সনিয়া গান্ধি।ভর্তি ছিলেন নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে। কোটি টাকা দিয়ে মকবুল ফিদা হুসেনের ছবি কেনার খবরে খুশি হন সনিয়া-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। প্যাটেল তাঁকে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আর এই সিদ্ধান্তের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে পদ্ম পুরষ্কার দেওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই চিন্তাভাবনা করা হবে।
রানা কাপুরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উনি এমন একজনের সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, যিনি বেঁচে নেই। সুতরাং, ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তা সত্য বলছেন না মিথ্যে তা প্রমাণ করার রাস্তাই নেই।