নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের সঙ্গে দুরত্বে ইতি টেনে রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ সোমবার রাহুল ইস্যুতে সংসদে কীভাবে সরব হওয়া হবে তা নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিমান ভুলে ফের বিরোধী শিবিরের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর কথায়, ‘গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইতে প্রত্যেককেই আমরা স্বাগত জানাই।’
সাগরদিঘি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে হারার পরেই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন কোনও জোটে সামিল হবে না তৃণমূল কংগ্রেস। একলাই নির্বাচনে লড়বে।’ এমনকী সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগও দেননি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। বিরোধী শিবির থেকে কিছুটা দুরত্ব বজায় রেখে নিজেরাই আলাদাভাবে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজের পরেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, রাহুলের সাংসদপদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন কালো পোশাক পড়ে সংসদে উপস্থিত হওয়া হবে। পাশাপাশি বিজেপির ওপরে চাপ বাড়াতে কী রণকৌশল নেওয়া হবে তা ঠিক করতে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নিজের কার্যালয়ে সব বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। ওই বৈঠকে কালো পোশাক পড়ে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়।