নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা। রাত আড়াইটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগি থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার করছেন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধারকার্য শেষ হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। মৃতের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই আহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার থেকে ছেড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় এক্সপ্রেস ট্রেনটির একাধিক কামরা। দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে যোগ দেয় দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। কিন্তু অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকার্যে প্রথম দিকে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। শেষ পর্যন্ত আলোর বন্দোবস্থ করে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়। উদ্ধারকার্যে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকার্যের তদারকিতে থাকা ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিজি সুধাংশু সারেঙ্গি জানিয়েছেন, ১২০টির বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া একাধিক বগিতে এখনও বহু যাত্রী কার্যত চাপা পড়ে রয়েছেন। সারা রাত ধরেই চলবে উদ্ধারকার্য। পাশাপাশি উদ্ধারকার্যে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ভিভিআইপিদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।