নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি জমানায় বিরোধীদের শায়েস্তা করতে ইউএপিএ ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনকে (পিএমএলএ) প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ওই দুই আইনের অপপ্রয়োগ করে বিজেপি সরকার বিরুদ্ধ কণ্ঠস্বর রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে সরব হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এবার নিজেদের ইস্তেহারে ওই দুই ‘কঠোর’ আইন তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল সিপিআইএম। সেই সঙ্গে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও বাতিল করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সিপিআইমের সদর কার্যালয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য দলীয় ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত ও বৃন্দা কারাত। ঘোষণাপত্রে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ‘দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প মনরেগার বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হবে। পাশাপাশি শহরের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে নয়া আইনও প্রণয়ন করা হবে।’ মোদি সরকারের জমানায় ধনীদের বাড়তি সুবিধা দিতে কর কাঠামোয় কোনও বদল করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের ঘোষণাপত্রে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ‘ধনীদের উপরে বাড়তি কর চাপানো হবে।’ আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি এবং তাদের জোট সঙ্গীদের পরাস্ত করার জন্য দেশের ভোটারদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরিরা।
ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে লোকসভার ভোট নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি শুরু হয়েছে প্রচারও। তবে বিজেপি কিংবা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও দলীয় ঘোষণাপত্র (ইস্তেহার) প্রকাশ করা হয়নি। আগামিকাল শুক্রবার কংগ্রেস ইস্তেহার প্রকাশ করতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ হবে প্রথম দফার ভোটের দিন।