নিজস্ব প্রতিনিধি, চণ্ডীগড়: জাতীয়স্তরের শুটার সুখমানপাত সিং ওরফে সিপ্পি সিধু খুনের দায়ে গ্রেফতার হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (Acting Chief Justice) সাবিনার কন্য়া কল্য়াণী সিং। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিনই তাকে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয়। বিশেষ আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আর্জি ছিল তারা কল্যাণী সিংকে নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করতে চায়। বিশেষ আদালত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মেয়ে চারদিনের সিবিআই (CBI)হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই গ্রেফতারির খবরে দেশজুড়ে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়েছে।
সুখমানপাত সিং (Sukhmanpreet Singh) ওরফে সিপ্পি সিধুকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত অবস্থায় চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২৭-য়ের একটি পার্ক থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। সিপ্পি সিধু পেশায় একজন কর্পোরেট আইনজীবী (corporate lawyer)। তাঁর দাদু এসএস সিধু পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। সিপ্পি সিধুর খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়। রাজ্য সরকার প্রথমে সিআইডির (CID) হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেয়। কিন্তু নানা প্রান্ত থেকে দাবি উঠেছিল সিবিআই (CBI) তদন্তের। একপ্রকার চাপে পড়ে খুনের রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হাতে তুলে দেয়। ২০১৬ সালে সিবিআই এই খুনের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল।
তদন্তের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর থেকে সিবিআইয়ের সন্দেহ গিয়ে পড়ে কল্যাণী সিংয়ের ওপর। তারা প্রায় নিশ্চিত ছিল এই হত্যাকাণ্ডে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির (Acting Chief Justice) মেয়ের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। দরকার ছিল পাকাপোক্ত প্রমাণের। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (CBI) সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কল্যাণীর বিরুদ্ধে তারা পাকাপোক্ত প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয়।