নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮। শনিবার সন্ধ্যায় রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন বেলা দুটো পর্যন্ত দুর্ঘটনায় মোট ২৮৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মোট আহত হয়েছেন ৭৪৭ জন। তার মধ্যে বালেশ্বর-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন ৫৬ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। উদ্ধারকার্যের দায়িত্বে থাকা ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু সারেঙ্গি জানিয়েছেন, এক সঙ্গে এত মৃতদেহ তিনি জীবনে দেখেননি। যদিও মৃতের সংখ্যা নিয়ে তিনি স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি।
গতকাল শুক্রবার সন্ধেয় বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে একইসঙ্গে তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ কার্যত নজিরবিহীন। যে দুর্ঘটনা ২৮৮ জনের প্রাণ কেড়েছে, সেই দুর্ঘটনায় বলির পাঁঠা খুঁজতে শুরু করেছে রেল মন্ত্রকের বড় কর্তারা। দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তড়িঘড়ি প্রাথমিক তদন্ত সেরে ফেলে সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটিকে আপাতত কাঠগড়ায় তুলেছেন তদন্তকারীরা।
এদিনই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বালেশ্বর হাসপটাতালে গিয়েও দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অতীতের মতো এবারও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার ছুড়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পিছনে কারওগাফিলতি থাকলে তাকে ছাড়া হবে না। কঠোর সাজা দেওয়া হবে।’ কিন্তু এত মানুষের মৃত্যুর পরেও নৈতিক দায়িত্ব না নিয়ে নির্লজ্জের মতো কেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান কুর্সি আঁকড়ে রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।