নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ডের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বাড়তি সময় চাইতে গিয়ে শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়ল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ এসবিআইয়ের আর্জি পত্রপাঠ নাকচ করেছে। সেই সঙ্গে আগামিকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে এসবিআইয়ের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর আগামী ১৫ তারিখ বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্দেশ কেন মানা হয়নি এবং তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া করা হবে না তা এসবিআইকে হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে ওই বন্ড বাতিল হওয়া উচিত বলেও জানিয়ে দেয়। রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছিল, নির্বাচনী বন্ড তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনকে লঙ্ঘন করছে। একই সঙ্গে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ককে (এসবিআই) এই ধরনের বন্ড বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। আগামী ৬ মার্চের মধ্যেই এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে জমা পড়া অনুদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে অনুদান সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছিল পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগেই বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধি করার আর্জি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এসবিআই। আর্জিতে ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (ওই দিনই শীর্ষ আদালত নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছিল) ২২ হাজার ২১৭টি বন্ড বিক্রি হয়েছে। ওই বিশাল সংখ্যক বন্ডের তথ্য জমা দিতে সময়ের প্রয়োজন।কিন্তু সেই ছেঁদো যুক্তি মানেনি সাংবিধানিক বেঞ্চ। এদিন মামলার শুরুতেই এসবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতিরা প্রশ্ন ছুড়েছিলেন-গত ২৬ দিন কী করেছেন?