নিজস্ব প্রতিনিধি : অসম সীমানায় কাঠ পাচারের অভিযোগে বনকর্মীদের গুলিতে ছ’য় মেঘালয়বাসীর মৃত্যুতে থমথমে শিলং। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যে ঝকঝকে শহরে মেঘালয়ের অন্যতম আকর্ষণীয় চেরি ব্লসম ফেস্টিভাল হয়, তাও এ বছর বন্ধ। একাধিক সংগঠনের চাপে সরকারি কর্মীদের হাজিরা কমছে। শিলং শহরে ইতিমধ্যেই সরকারি অফিসে উপস্থিতি ৩০ শতাংশে নেমে গিয়েছে। শনিবার করে শুরু হচ্ছে ‘রেড ফ্ল্যাগ মার্চ’। সবমিলিয়ে মেঘালয়ের পরিস্থিতি থমথমে।
কেএসইউ, জেএসইউ, এফকেজেজিপির মতো একাধিক স্থানীয় সংগঠন ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে শিলংয়ে। পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস জেলার মুখরোহ গ্রামে ৬ গ্রামবাসীর মৃত্যু নতুন করে অসম বনাম মেঘালয়ের সীমানা সংঘাতে উস্কানি দিয়েছে। জানা গিয়েছে, মেঘালয়ের স্থানীয় সংগঠনগুলি সরকারি কর্মীদের এর প্রতিবাদে অফিসে না যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পর্যটনের মরশুমে কার্যত থমথমে গোটা শিলং। শহরের নানা স্কুলে এই সময় ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে। শিলং শহরের লইতমুখরা এলাকায় বহু গাড়ির আনাগোনা থাকে এই সময়। তবে সবই যেন স্তব্ধ রয়েছে শিলংয়ে। এই থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই অসম থেকে বিভিন্ন জ্বালানির ট্যাঙ্কার সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে ঢুকছে মেঘালয়ে।
এরই মধ্যে কিন্তু বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। যারপর মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, কোনও মতেই যেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অসমের প্লেট লাগানো গাড়ি মেঘালয়ে না আসে। কারণ অসমের প্লেট লাগানো গাড়ি নিশানা হয়ে যাচ্ছে মেঘালয়ে। আবার অসমেও মেঘালয়ের প্লেট লাগানো গাড়ি প্রবেশ রখে দেওয়া হচ্ছে, অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায়। এর আগে গত সপ্তাহে শুক্রবার ৬ জনের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার অসমের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়িকে লক্ষ্য করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যারপর থেকে পরিস্থিতি আরও থমথমে হয়ে যায়।