নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে সাত দফায় লোকসভা ভোট করানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। শনিবার নির্বাচন কমিশনের ভোট নির্ঘন্ট ঘোষণার পরেই খানিকটা কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেয়েছেন বলেই সাত দফায় ভোট হচ্ছে। যাতে তিনি প্রচারে সর্বত্র পৌঁছতে পারেন তার জন্য ৮০ দিন ধরে দেশের উন্নয়নের কাজকর্ম বন্ধ রাখা হচ্ছে।’
এদিন দুপুরে বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘বিশ্বাসযোগ্যতা হারানো’ ’প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, দেশজুড়ে ৭ দফায় হবে লোকসভা ভোট। ১৯ এপ্রিল শুরু হবে। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ভোট গণনা হবে ৪ জুন। নির্বাচন কমিশনের সাত দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ভোট নির্ঘন্ট দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ‘নিরপেক্ষতা হারিয়ে কার্যত প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার কাজই করেছেন ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত তিন নির্বাচন কমিশনার। কেননা, প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে শেষ দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
ভোট নির্ঘন্ট ঘোষণার পরে সাত দফায় নির্বাচন করার পিছনে যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সাত দফায় ভোট করানো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নয়।মোদিজি চেয়েছেন তাই সাত দফায় ভোট হচ্ছে। তিন কিংবা চার দফাতেও ভোট করানো যেতে পারতো। আমি জীবনে ১২টি সাধারণ নির্বাচন দেখেছি। এক দফাতেও দেশে লোকসভা ভোট হয়েছে।’
সাত দফায় ভোট করানোর ফলে দীর্ঘ ৭০-৮০ দিন উন্নয়নের কাজ থমকে যাবে বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘আদর্শ আচরণ বিধি চালুর কারণে অনেক উন্নয়নের কাজ থমকে যাবে। বরাদ্দ টাকাও খরচ করা যাবে না। আর তার মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে। কী আর করা যাবে?’