নিজস্ব প্রতিনিধি নয়াদিল্লি: জার্মানির পরে এবার আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তার উপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিচার প্রক্রিয়া ‘অবাধ’ ও ‘স্বচ্ছ’ করারও অনুরোধ করেছেন তিনি। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের মন্তব্য নিয়ে দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।’
দিল্লি হাইকোর্ট গত বৃহস্পতিবার ‘রক্ষাকবচের’ আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পরে ওই দিন রাত নয়টা নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরের দিন শুক্রবার তাঁকে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক কাবেরী বাজওয়ার এজলাসে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সাত দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ২৮ মার্চ বেলা দুটোয় ফের কেজরিওয়ালকে আদালতে পেশ করা হবে। যদিও ইডির গ্রেফতারি ও ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান। জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরি। তবে ওই আর্জি খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, হোলি অবকাশের শেষে আদালত খুললে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আর্জির শুনানি হতে পারে। আগামিকাল বুধবার ওই আর্জির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন নয়াদিল্লির জার্মান দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জর্জ এনজওয়েলার। জানিয়েছিলেন যে, তিনি আশা করেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ এবং ‘মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযুক্ত হবে। তবে তাঁর এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। ওই মন্তব্যকে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। এমনকি জার্মান দূতকে তলব করেও এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তি জানিয়ে দিয়েছিল।