নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: নানা অভাব-অভিযোগ নিয়ে সুরাহার আর্জি জানিয়ে মন্ত্রী কিংবা জনপ্রতিনিধি দ্বারস্থ হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নের ঘটনা। মদে জল মেশানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে খোদ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন এক মাতাল। তার একটাই আর্জি, মদে জল মেশানো দোকানদারকে যেন কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা দেওয়া হয়। ভেজাল মদ নিয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানোর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় আবগারি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ওই ব্যক্তি এখনও দফতরের কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ জানাননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জয়নের বাহাদুরগঞ্জের বাসিন্দা লোকেন্দ্র শেঠিয়া জাত মাতাল। মদ ছাড়া একদিনও চলে না তার। প্রতিদিন অন্তত এক বোতল দেশি মদ চাই। গত মাসের ১২ এপ্রিল ক্ষীরসাগরের এক মদের দোকান থেকে একইসঙ্গে দুই বোতল মদ কিনেছিলেন লোকেন্দ্র। ভেবেছিলেন রয়েসয়ে খাবেন। কিন্তু তা আর হল কোথায়! প্রথম বোতল খুলে ঢুক ঢক গলায় ঢালতে লাগলেন দারু। কিন্তু নেশা হয়নি। কিন্তু নেশা না হলে নিজেকে আবার রাজা-উজির বলে মনে হয় না। তাই নেশা চড়াতে দ্বিতীয় বোতলও খুলে গলায় ঢাললেন। কিন্তু না, তাতেও নেশা চড়ল না।’
পর পর দুই বোতল মদ খেয়েও নেশা না চড়ায় সটান মদের দোকানেই হাজির হয়েছিলেন লোকেন্দ্র। দোকানের ম্যানেজারকে নালিশ ঠুকলেন। অভিযোগ করলেন, মদে জল মেশানো রয়েছে। না হলে নেশা হবে না কেন? কিন্তু তাঁর কথায় কান দেননি দোকানের ম্যানেজার। উল্টে মাতাল বলে লোকেন্দ্রকে গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। ওই অপমান সহ্য হয়নি। দোকানদারকে সবক শেখাতে সোজা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন। ভেজাল মদ বিক্রির জন্য মদের দোকানের মালিককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমকে লোকেন্দ্র জানিয়েছেন, মদে যে জল মেশানো হয়েছে তা প্রমাণ করতে দুই বোতলে কিছুটা মদ রেখে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইলে প্রমাণ হিসেবে ওই মদ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কেন নেশার দ্রব্য নিয়ে এমন জালিয়াতি চলছে, সেই প্রশ্নের সদুত্তর পেতে চান।