নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: শপথ গ্রহণের সাত সপ্তাহ পর দফতর পেলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তাঁকে স্বরাষ্ট্র ও অর্থর মতো দু’টি হেভিওয়েট দফতর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা দফতরও। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিজের হাতে রেখেছেন নগরোন্নয়ন দফতর। উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসার পর এই প্রথম মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত করলেন শিন্ডে। মন্ত্রিসভায় আরও ১৮ জন নতুন মুখ নেওয়া হয়েছে।
প্রায় মাস দুই আগে শিব সেনার মধ্যে বিদ্রোহ ঘটিয়ে মহারাষ্ট্রে শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মহা আগাড়ি জোটকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করে শিব সেনার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী ও বিজেপি। প্রথমে ভাবা গিয়েছিল যে, দেবেন্দ্র ফড়নবীশই ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। কিন্তু কিছুটা চমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেন ফড়নবীশ। মুখ্যমন্ত্রী হন শিব সেনার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা একনাথ শিন্ডে। ফড়নবীশ হন উপমুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে এই দু’জনই শুধু শপথ নেন। তারপর দেড় মাসেরও বেশি সময় পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন শিন্ডে।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজেপির রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিল হচ্ছেন নয়া রাজস্বমন্ত্রী। বিজেপিরই সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার হচ্ছেন বনমন্ত্রী। তিনি আগেও এই দফতরের ভার সামলেছেন। প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিলকে দেওয়া হয়েছে উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরি দফতর। এর পাশাপাশি তিনি পরিষদীয় দফতরেরও কাজকর্ম সামলাবেন। শিন্ডে ঘনিষ্ঠ শিব সেনা বিধায়ক দীপক কেসরকর হলেন স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় একমাত্র সংখ্যালঘু মুখ আবদুল সাত্তার। তিনি হলেন কৃষিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র ও অর্থের মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিজেদের হাতে রেখে প্রথম থেকেই একনাথ শিন্ডেকে চাপে রাখল বিজেপি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।