এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে আটক বাংলার ৩ শ্রমিককে ঘিরে উদ্বেগ

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের(Uttarakhand) উত্তরকাশী(Uttarkashi) জেলার ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে(Tunnel Disaster) পড়ে। এর জেরেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক(Workers)। তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলার(Bengal) ৩জন শ্রমিকও। দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু করা গেলেও বার বার সুড়ঙ্গের ভিতরে ধস নামায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার National Highways and Infrastructure Development Corporation Limited বা NHIDCL নতুন করে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা ৪০ নয় ৪১। তবে তাঁরা সুরক্ষিত আছেন। কিন্তু মূল ঘটনার পরে প্রায় ১ সপ্তাহ হতে চললো শ্রমিকেরা সুড়ঙ্গে আটকে আছেন। গতকাল দুপুরে নতুন করে ধস নেমেছে সুড়ঙ্গে। আর তারপর থেকেই যাবতীয় উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলার ৩ শ্রমিকের ঘরেই কার্যত চূড়ান্ত উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। 

বাংলার যে ৩জন শ্রমিক ওই সুড়ঙ্গে আটকে আছেন তাঁরা হলেন হুগলির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক, সৌভিক পাখিরা এবং কোচবিহারের মনির তালুকদার। এখন এই ৩ শ্রমিকের বাড়ির সদস্যদেরই কার্যত রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন তাঁরা। গতকালের ধসের সময় একটি বিকট শব্দ হয়। তারপর থেকেই উদ্ধারকাজ চালানো দলগুলির মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। আরও ধস নামার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাঁদের ধারনা। সেই অনুযায়ী আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। খননযন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর সরানোর সময় জোরে ফাটল ধরার শব্দ পান উদ্ধারকারীরা। উদ্ধারকাজ চালিয়ে নিয়ে গেলে আরও ধস নামতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত কান্নার রোল এখন ওই ৩ শ্রমিকের বাড়িতে। NHIDCL জানিয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ভাঙা সুড়ঙ্গে ধসে যাওয়া পাথরে ছিদ্র করে তিন ফুটেরও কম দৈর্ঘ্যের একটি পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বার করে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। আপাতত সেই কাজও বন্ধ রয়েছে।

এদিকে উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ৬০ মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি করতে হবে। এর পর সেই গর্তে ৮০০ এবং ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের একটি পাইপ ঢুকিয়ে তার মধ্যে দিয়ে বার করে আনা হবে শ্রমিকদের। তবে ফাটল ধরার শব্দের পর থেকে সেই কাজ বন্ধ রয়েছে। শক্ত পাথরের কারণে খননযন্ত্রটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে তাইল্যান্ড এবং নরওয়ের দু’টি সংস্থাকেও ডেকে পাঠিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। শুক্রবারের মধ্যেই উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে নতুন করে ধস নামায় তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

১৬৫ জন উদ্ধারকারী উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজ়ের বাহিনী। তবে আটকে থাকা শ্রমিকদের সুস্থ রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না উদ্ধারকারীরা। সুড়ঙ্গপথে খাবারদাবার, ওষুধপত্র-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে। আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিকের মনোবল অটুট রাখতে নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে। এত কিছুর পরেও উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া ক্রমশ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ওই শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ সংশয় তৈরি হচ্ছে। এদিকে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় একটি খননযন্ত্র আনার জন্য এদিনই অর্থাৎ শনিবারে Indian Air Force বা ভারতীয় বিমান বাহিনীর পণ্যবাহী C-17 বিমানকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সেটি এদিন ২২টন ওজনের দ্বিতীয় খননযন্ত্রটি নিয়ে সেখানে পৌঁছাবে বলে জানা গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গুরুগ্রাম থেকে লড়ছেন রাজ ব্বর, কাংড়ায় প্রার্থী আনন্দ শর্মা

নেহরু-গান্ধি পরিবারের তিন প্রজন্ম দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছে, মোদিকে খোঁচা পওয়ারের

ভোটের আগে কেন? কেজরির গ্রেফতারির সময় নিয়ে ইডিকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য সুখবর ! দীর্ঘ ৬ মাস পর খুললো সিকিমের এই হ্রদ

আগামী দু-তিন পশ্চিমবঙ্গ সহ ৪ রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি মৌসম ভবনের

দিল্লি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ দেবেন্দ্র যাদব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর