নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদে হানায় ধৃত ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনই পলিগ্রাফ টেস্টে বসতে সম্মতি জানিয়েছেন। তার মধ্যে মূলচক্রী ললিত ঝা-ও রয়েছেন।তবে পলিগ্রাফ টেস্টে বসতে সম্মতি জানাননি নীলম আজাদ। খুব শিগগিরই পাঁচ অভিযুক্তের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট হবে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক হরদীপ পুরীর এজলাসে সংসদ হানায় ধৃত ছয় অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানায় দিল্লি পুলিশ। আবেদনে বলা হয়, জেরার সময়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছেন অভিযুক্তরা। তাই সঠিক তথ্য জানতে পলিগ্রাফ টেস্টের প্রয়োজন। পাঁচ জনই পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দিয়েছেন। শুধুমাত্র নীলম আজাদ সম্মতি জানাননি।
এদিন অভিযুক্তদের ফের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী অখণ্ডপ্রতাপ সিং। তিনি জানান, ‘ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করেছে ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা। মোবাইল ফোনে কী ধরনের কথোপকথন এবং বার্তা আদানপ্রদান হয়েছে তা শিগগিরই জানা যাবে। ওই বার্তা জানার পরে বিস্তারিত তথ্য জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত অভিযুক্তদের হেফাজতে প্রয়োজন।’ যদিও অভিযু্ক্তদের আইনজীবী পুলিশি আর্জির বিরোধিতা করেন। তিনি যুক্তি দেখান, ‘জেল হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্তদের জেরা করে যাবতীয় তথ্য জেনে নিয়েছে তদন্তকারীরা। ফলে নতুন করে পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন নেই। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারক ধৃত ৬ জনকেই আট দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাংসদদের বসার আসনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জন ডি ও সাগর শর্মা নামে দুই যুবক।