নিজস্ব প্রতিনিধি: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া টাকা আদায়ের লক্ষ্যে গান্ধি জয়ন্তীর দিনেই দিল্লির(New Delhi) রাজঘাটে(Rajghat) ধর্না কর্মসূচী শুরু করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। সেই মতো এদিন দিল্লির রাজঘাটে দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল শান্তিপূর্ণ ধর্না কর্মসূচী। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তুলে দিতে তৎপর দিল্লি পুলিশ। ঘন্টা ২ পরে রীতিমত গায়ের জোরে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচী তুলে দেওয়া হয়। সেই সময়েই অভিষেক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আক্রমণ শানেন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারকে(Narendra Modi Government)।
অভিষেক এদিন বলেন, ‘আমরা রাজঘাটে আসি ১টা নাগাদ। মহাত্মা গান্ধিকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১.১০ মিনিট থেকে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্না শুরু করি। কিন্তু, ১০ মিনিট অন্তর পুলিশ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ জওয়ানরা এসে আমাদের কর্মসূচীতে যোগ দেওয়া মহিলাদের অবস্থান থেকে তোলার চেষ্টা করে, তাদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয়। গান্ধিজি(Mahatma Gandhi) কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, সরকারের কেনা সম্পত্তি নয়। গান্ধীজি গোটা দেশের গর্ব। তাঁকে স্মরণ করার সকলের সমান অধিকার আছে। সকলের এই রাজঘাটে এসে বসা, গান্ধিজিকে স্মরণ করা, তাঁর পথকে পাথেয় করে অনুপ্রাণিত হওয়ার অধিকার আছে। আমরাও এসেছি তাঁকে পাথেয় করে আন্দোলন তীব্রতর করার। আমরা কেউ শ্লোগান দিইনি। টাকা ছাড়তে হবে পোস্টার নিয়ে কর্মসূচি করেছি। শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেছি। তারপরেও অনেক চেষ্টা করেছে আমাদের আটকানোর, আমরা ২ ঘণ্টা অবস্থান করব বলেছিলাম, তাই করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তি-সাধনা, কৃচ্ছ সাধনা, জাতির জনকের সংগ্রামের প্রতীক হল রাজঘাট। ২০২১ সাল থেকে ১৫,২০০ কোটি টাকা বাংলার পাওনা রয়েছে। জোর করে টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার। এই বকেয়ার দাবিতে আমরা এই রাজঘাট থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করছি। একটাও রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করা হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলাম। তারপরেও বিনা কারনে দিল্লি পুলিশস আর সিআরপিএফ এসে আক্রমণ করেছে আমাদের। প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার এসে আমাদের উঠে যেতে বলেছে পুলিশ। মহাত্মা গান্ধী সরকারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। বাংলা ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলার ১৫ হাজার কোটি টাকা জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। আজকের ঘটনার পরেও বলছি, বাংলার মানুষ আত্মসমর্পণ করবে না।’
