নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: মোদি পদবি অবমাননা মামলায় গুজরাত হাইকোর্টেও স্বস্তি মিলল না রাহুল গান্ধির। আজ মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির আবেদনের শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক। রাহুলের আইনজীবীদের পীড়াপীড়িতেও কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হননি বিচারপতি। জানিয়েছেন গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হলেই এ বিষয়ে রায় দেওয়া হবে। গুজরাত হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। উল্লেখ্য, যে বিচারপতির এজলাসে রাহুলের আবেদনের শুনানি হয়েছে সেই হেমন্ত প্রচ্ছক গোধরা দাঙ্গায় বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানির আইনজীবী ছিলেন।
মোদি পদবি অবমাননা মামলায় গত ২৩ মার্চ সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন। ওই সাজার বিরুদ্ধে সুরাত সেশনস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। যদিও তাঁর সেই আজি খারিজ হয়ে যায। এর পরেই গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু গুজরাত হাইকোর্টেও প্রাথমিক ধাক্কা খান তিনি। মামলা শুনতে আস্বীকার করেন বিচারপতি গীতা গোপী। মামলা ফিরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির কাছে। এর পরে বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে মামলা পাঠানো হয়।
গত শনিবার দীর্ঘ শুনানির পরে ফের মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি। এদিন শুনানির শুরুতেই বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক জানান, ৪ মে তিনি বিদেশ যাবেন। ফলে সম্ভব হলে এদিন, না হলে বুধবারের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে। রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী পূর্ণেশ মোদির আইনজীবি নিরুপম নানাবতী প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির আর্জি খারিজের আবেদন জানিয়ে দীর্ঘ সওয়াল করেন। রাহুল গান্ধি তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেননি ফলেও বার বার উল্লেখ করেন। পাল্টা যুক্তিতে বিভিন্ন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় উল্লেখ করে রাহুলের শাস্তি স্থগিত রাখার পক্ষে জোর সওয়াল করেন অভিষেক মণু সিঙ্ঘভি ও আর এস চিমা। শুনানি শেষে বিচারপতি জানান, কোনও অন্তর্বর্তী আদেশ দেওযা হচ্ছে না। গ্রীষ্মের ছুটির পরে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে।