নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই আবহে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। তবে কোর্ট বারবারই এই অপসারণের মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। এই আবহে ফের বুধবার কেজরিওয়ালের অপসারণের দাবিতে মামলা ওঠে দিল্লি হাইকোর্টে।
বুধবার কেজরিওয়ালের অপসারণ মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীত পিএস আরোরার বেঞ্চে। এদিন এই মামলাকে খারিজ করে মামলাকারী প্রাক্তন আপ বিধায়ক সন্দীপ কুমারকে তিরস্কার করল দিল্লি হাইকোর্ট। পরিষ্কারভাবে বিচারপতিরা জানিয়ে দিয়েছে,’ আদালতকে রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে জড়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই ৫০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এটা জেমস বন্ডের সিনেমা নয়, যে সিক্যুয়াল থাকবে। রাজ্যপাল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ‘
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘এই মামলার জন্য সাংবিধানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করার কারণে কেজরিওয়াল এখন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্য নন।‘ এই বক্তব্যের পরেই বিচারপতি মনমোহন বলেন,’ যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে একই বিষয়ে তৃতীয় পিটিশন দাখিল না করে আগের সিদ্ধান্তগুলির বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে পারেন।’ এরপরেই হাইকোর্টের মধ্যে মামলাকারীর আইনজীবী তর্ক শুরু করে। এই নিয়ে বিচাপতি খানিকটা অসন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘দয়া করে এখানে রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন না। রাস্তার এক কোণে যান এবং সেখানে গিয়ে এসব বলুন। আপনার মক্কেল রাজনীতিবিদ হতে পারেন। তবে আমরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের তামাশার মধ্যে ফেলবেন না। দয়া করে বারবার একই কারণে মামলা দায়ের করবেন না।’উল্লেখ্য, কেজরিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের দাবিতে সপ্তাহের শুরুতে সন্দীপ কুমারের আবেদন শুনতে রাজি হয়নি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ।