নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ১০ জনের সৎকার হলেও বাকি ৩ জনের শেষকৃত্যের কাজ এখনও বাকি। তাঁরা হলেন নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার এবং সিডিএস বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী হাবিলদার সৎপাল রাই। দিল্লির সেনা হাসপাতালের তরফ থেক আগেই জানানো হয়েছিল, বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরে কপ্টার দুর্ঘটনায় যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহের অধিকাংশই আগুনে ঝলসে গিয়েছে। ফলত, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাঁদের চিহ্নিত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত, এল এস লিড্ডার ছাড়া এই ঘটনায় মৃত আবকি ১০ জনের দেহই ডিএনএ পরীক্ষা করে শনাক্ত করার পরেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৬ জনের দেহ শনিবারই তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং শনিবারই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩ জনের দেহ আজ রবিবার পৌঁছাবে তাঁদের নিজের শহরে, পরিবারের কাছে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময়ে পঞ্জাবের অমৃতসরে পৌঁছেছে নায়েক গুরুসেবক সিংয়ের মরদেহ। সকাল ১১:১৫ নাগাদ ভোপালে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নায়েক জিতেন্দ্র কুমারের মরদেহ। অন্যদিকে বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের মৃতদেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছাবে দুপুর ১ টার দিকে। সেখান থেকে সড়কপথে সৎপালের নিজের গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁর মরদেহ। রবিবার সকালেই ভারতীয় বায়ুসেনার ৩টি বিমান এই ৩ জন সেনা জওয়ানের দেহ নিয়ে দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছে। বাড়িতে পৌঁছানোর পর এই ৩ জন বীর সেনার শেষকৃত্য রবিবারই সম্পন্ন হবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিল্লির ব্রার স্কোয়ারে সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত এবং ব্রিগেডিয়ার এল এস লিড্ডারের শেষকৃত্যের পরে শনিবার উইং কমান্ডার তথা ওই কপ্টারের পাইলট পৃথ্বি সিং চৌহান, স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং, জুনিয়র ওয়ারান্ট অফিসার রানা প্রতাপ দাস ও আরাক্কাল প্রদীপ, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার ও বি সাই তেজার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে এদিন।