নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: তাঁর সাধের নির্বাচনী বন্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত যে তিনি হজম করতে পারছেন না ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, ‘নির্বাচনী বন্ড বাতিল করে দেশকে ফের কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল।’ আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপির বাড়া ভাতে জল ঢেলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই আমজনতার কাছে দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের খলনায়ক হিসাবে তুলে ধরতেই এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মোদি সরকারের চালু করা নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এমনকি স্টেট ব্যাঙ্ককে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনে বন্ড সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেয় স্টেট ব্যাঙ্ক। সেই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশও করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে, নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী বিজেপি। যে সমস্ত সংস্থা ইডি, আয়কর ও সিবিআইয়ের তল্লাশির মুখে পড়েছে, তারা নিজেদের বেওসা বাঁচাতে বিজেপির তহবিলে দুহাত উপুড় করে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন।
সোমবার এক ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া নির্বাচনী প্রচার সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী বন্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মনে পুষে রাখা রাগ, ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ভোটে কালো টাকা ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল। আমি কখনওই বলিনি একটি সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু বিরোধী দলগুলি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল।’