এই মুহূর্তে




দাউদের সাহায্যে ফের বিস্ফোরণ, গোয়েন্দাদের কাছে হাড়হিম তথ্য




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: ১৯৯৩ সালে হওয়া পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। সেই বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল একটি নাম, দাউদ ইব্রাহিম। ভারতের কাছে দাউদ আজও ‘ওয়ান্টেড’। ১৯৮২ সালে ‘ডন’ দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাই থেকে দুবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রাণভয়ে। সেই দুবাইতে বসেই তিনি মুম্বই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। তারপর তো পাকিস্তানেই তাঁর বসবাস।

দাউদ ইব্রাহিমের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদের ছেলের। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ঘোরাফেরা করছে একটি পোস্ট। তাতে দাবি করা হচ্ছে পাকিস্তানে ভারতের করা একের পর এক মিসাইল হানার পর প্রাণভয়ে পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়েছেন দাউদ।  এই কথা সত্যি না মিথ্যে, তা জানা যাক।

১৯৮৩ সাল থেকে দাউদের লাফিয়ে লাফিয়ে উত্থান। দুবাইতে থাকাকালীনই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ভারতের বিরুদ্ধে তাঁকে ব্যবহার শুরু করেন। আইএসআই দাউদকে একটি পাকিস্তানি পাসপোর্ট এবং জাল পরিচয়পত্র দেয়। সেই সময়েই দাউদের ডন থেকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত হওয়ার সূচনা।

১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ের ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে আইএসআইয়ের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন দাউদ। ১৯৯২ সালে বাবরি ধ্বংসের সময় শিবসেনা সদস্যরা মুম্বাইয়ের মুসলমানদের সম্পত্তির উপর ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে।

সেই ছবি, ভিডিও দাউদের ভারতে থাকা ‘সঙ্গী’রা তাঁকে পাঠায়। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আইএসআইয়ের সঙ্গে হাত মেলান দাউদ। নিজের ‘ডান হাত’ টাইগার মেমনকে দুবাই আসতে বলেন তিনি। আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাইগার RDX বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেয়। তারপরই মুম্বইয়ে ঘটে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ।

সাফল্যের স্বাদ গ্রহণের পর আইএসআই দাউদকে নিজেদের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে। এরপরেই দাউদের সঙ্গে মাদক ও সোনা চোরাচালান চক্র, বলিউডে অর্থায়ন, সন্ত্রাসে হাত মেলায় তারা। এই প্রক্রিয়ায় দাউদ কার্যত গুপ্তচর সংস্থার বন্দি হয়ে ওঠেন।

২০০৮ সালে আইএসআই আবার দাউদকে ব্যবহার করে। সেই সময় স্বপ্ননগরীতে পুনরায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসীদের মুম্বইতে পাঠায় তারা। তখনই হয় ২৬/১১’র ঘটনা।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন আবার উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ কাউকে এতটুকু জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। আর এই সময়তেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে আইএসআই আবারও মুম্বাইতে একটি নৃশংস অভিযান পরিচালনার জন্য দাউদকে ব্যবহার করতে পারে। শুক্রবার এমন খবর পাওয়া গিয়েছে যে দাউদ পাকিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দা মহলের সূত্রগুলি এই দাবি তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে।

গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তার মতে, “আইএসআই দাউদকে প্রয়োজনে বডি ব্যাগে ভরে রাখবে, কিন্তু তাঁকে পাকিস্তানের উপকূল ত্যাগ করতে দেবে না। দাউদ এমন একজন ব্যক্তি যিনি আইএসআই এবং পাকিস্তানের ভেতরের কীর্তি কলাপ সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তাই তাঁকে পাকিস্তানের হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হবেই।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভুতের বেশে’ পার্লামেন্টে সাংসদ, টেনে হিঁচড়ে বের করল নিরাপত্তা বাহিনী

অদ্ভুত নিয়ম! এখানে বিয়ের আগে বরের ‘ভার্জিনিটি’ পরীক্ষা করতে হয় কনের ‘মাসি’কে

দলে কোণঠাসা শশী শেষ পর্যন্ত নিজেই গাইলেন নিজের সাফাই

মায়ের পরামর্শ মেনে আত্মসমর্পণ করেনি, সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা জঙ্গি আমির

‘সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত-ই থাকছে’, পাকিস্তানের আর্জি খারিজ করে জানালেন জয়শঙ্কর

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব চারধাম যাত্রায়, ক্রমশ কমছে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর