নিজস্ব প্রতিনিধি: গত রবিবারই নিজের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারন করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দুয়ারে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন আর তার আগেই জাতপাতের রাজনীতি খেলেই নিজের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। গত রবিবার নতুন বিধায়কদের মন্ত্রিত্বের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দি বেইন পাটিল। সম্প্রাসারিত মন্ত্রিসভায় সব থেকে বড়ো চমক জিতিন প্রসাদের অন্তর্ভুক্তি। প্রাক্তন এই কংগ্রেস সদস্যকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন সাতজন। জিতিন ছাড়া সকলেই রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জিতিন প্রসাদ ছাড়াও সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়েছে ছত্রপাল গাঙ্গওয়ার, পল্টু রাম, সঙ্গীতা বিন্দ, ধরমবীর প্রজাপতি সঞ্জিব কুমার এবং দীনেশ কার্তিক। ব্রাহ্মণ ভোট, দলিত ভোট ও অনগ্রসর জাতিদের ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে শপথ নেওয়া প্রত্যেক মন্ত্রীদের দফতর বন্টন করা হয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে একমাত্র পূর্ণমন্ত্রী প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ হয়েছেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী। বাকি রাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক পল্টু রাম, তাঁকে দেওয়া হয়েছে সৈনিক কল্যাণ, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্ব। গাজিপুর সদরের নির্বাচিত বিধায়ক সঙ্গীতা বিন্দকে দেওয়া হয়েছে, সমবায় দফতরের প্রতিমন্ত্রীত্ব। ইনি প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের সদস্য ধরমবীর প্রজাপতিকে দেওয়া হয়েছে শিল্প উন্নয়নের প্রতিমন্ত্রীত্ব। ছত্রপাল গাঙ্গওয়ারকে দেওয়া হয়েছে রাজস্ব দফতর। ওবরার বিধায়ক সঞ্জিব কুমারকে দেওয়া হয়েছে সমাজকল্যাণ ও অনগ্রসর জাতি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীত্ব। দীনেশ কার্তিক হস্তিনাপুরের বিধায়ককে দেওয়া হয়েছে, জলশক্তি ও বন্যা প্রতিরোধের দফতর।
সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কাদের নেওয়া হবে তার একটা খসড়া তালিকা তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই তালিকা নিয়ে মোদির বিশ্বস্ত সেনাপতি অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, সুনীল বনশল, বি এল সন্তোষ রাও সহ শীর্ষ নেতৃত্ব।