নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘দেশদ্রোহী’ এবং ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’য়ের’ ঘাঁটি বলে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন বিজেপি নেতারা। বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের সেই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন জেএনইউয়ের উপচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভাবধারায় বিশ্বাসী উপাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় না কখনও দেশ বিরোধী ছিল। না এখানে টুকড়ে-টুকড়ে গ্যাং রয়েছে।’ একই সঙ্গে দেশের অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গৈরিকীকরণের অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত জেএনইউয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, আরএসএসের ভাবধারায় বিশ্বাসী নয়া উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গৈরিকীকরণের জন্য কোমর কষে ঝাঁপিয়েছেন। এদিন এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরএসএসের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছেন জেএনইউয়ের উপাচার্য। তাঁর কথায়, ‘আরএসএসের বিচারধারায় আমি বিশ্বাসী। আমার জীবনে আরএসএসের অনেক অবদান রয়েছে। একজন সঙ্ঘ সমর্থক হিসাবে আমি মোটেও লজ্জিত নই। বরং গর্বিত। সঙ্ঘ আমাকে কখনও কাউকে ঘৃণা করতে শেখায়নি।’ উত্তর ভারতের মতো দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দাদের মধ্যে যে আরএসএসের তেমন প্রভাব নেই, তাও স্বীকার করে নিয়েছে শান্তিশ্রী পণ্ডিত।
জেএনইউ’তে দেশবিরোধী ও টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের সমর্থকরা রয়েছেন বলে বিজেপি নেতৃত্ব যে অভিযোগ তুলেছেন তাও মানতে রাজি হননি উপাচার্য। তাঁর কথায়, ‘জেএনইউ কখনও দেশ বিরোধী এবং টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের অংস ছিল না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ে ভিন্নমত পোষণ, গণতন্ত্রের চর্চা ও বিতর্ককে উৎসাহ দিয়ে এসেছে।’