নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেস শীর্ষনেতাদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বরই জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন দাপুটে বাম নেতা তথা বিহার সিপিআই দলের সদস্য কানহাইয়া কুমার। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই কানহাইয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। তবে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে দেখা না গেলেও কাজেকর্মে এবার বাম দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন কানহাইয়া।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কানহাইয়া সিপিআইয়ের রাজ্য কার্যালয় থেকে তাঁর লাগানো এসিটি খুলে নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বিহারের রাজ্য সিপিআইয়ের মুখ্যসচিব রাম নরেশ পাণ্ডেও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানয়েছেন, ‘কার্যালয়ের ওই এসিটি কানহাইয়া নিজের পয়সায় লাগিয়েছিলেন। তাই তিনি ওটা খুলে নিতে চাইলে আমরা কেউই আপত্তি জানাইনি।’
কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়েও এইন মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যসচিবকে। এই প্রসঙ্গে পাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘আমি এখনও আশা করি কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে যোগ দেবেন না কারণ তিনি সম্পূর্ণভাবে বামপন্থী মানসিকতায় বিশ্বাসী এবং এই ধরনের মানুষ তাঁদের আদর্শের সাথে কখনই আপস করতে চান না।’
পাণ্ডে আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কানহাইয়া কুমার দল ত্যাগের ব্যাপারে কোনও কিছুই উল্লেখ করেননি। এমনকি গত ৪ এবং ৫ সেপ্টেম্বর তিনি যখন সিপিআইয়ের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় অংশ নিয়েছিলেন তখনও তিনি দল ছাড়ার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে কংগ্রেস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত। এমনকি রাজধানী দিল্লিতে কানহাইয়াকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ব্যানারও টাঙানো হয়েছে। সেখানে রাহুল গান্ধির পাশে জায়গা পেয়েছেন কানহাইয়া। জানা গিয়েছে, কানহাইইয়ার পাশাপাশি এদিন কংগ্রেস দলে যোগ দেবেন জিগনেশ মেভানি। অন্যদিকে কানহাইয়ার কংগ্রেস দলে যোগ দেওয়ার খবর চাউর হতেই জাতীয় কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। সম্বিত এদিন রাহুল গান্ধিকে নিশানা করে বলেন, ‘ভারতকে টুকরো টুকরো করব শ্লোগান দেন যারা তাঁদের নিজের দলে স্বাগত জানাচ্ছেন রহুল গান্ধি। তাহলে কি উনিও টুকরে টুকরে গ্যাংকে সমর্থন করছেন।’