নিজস্ব প্রতিনিধি: জল্পনা সত্যি করে সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে ভিড়েছেন কানহাইয়া কুমার। আর তারপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন বিহারের ছাত্র নেতা। দিল্লির জেএনইউ থেকে আকবর রোডের জার্নিটা ভিন্ন হলেও লড়াই করেছেন কানহাইয়া কুমার। এখন তাঁর মূল লক্ষ্য বিজেপি মুক্ত ভারত, মোদি বিরোধিতা। কংগ্রেসে যোগদান করেই কানহাইয়া শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার শানিয়েছেন। কানহাইয়া জানিয়েছেন, ‘বিজেপির আইটি সেল আমাকে টুকরে টুকরে গ্যাং বলে কিন্তু আজ আমি বলছি, আগামী দিনে বিজেপিকে টুকরো টুকরো করে দেব। যে দলের নেতারা গোডসেকে জাতির জণক বলে, আর লোক দেখাতে আমেরিকার রাষ্ট্রপতির কাছে গান্ধির সুনাম করে তাঁদের রেহাই দেব না।’
কিন্তু আচমকাই এতদিন বাদে কংগ্রেস কেন। ২০১৬ সালেই রাজনৈতিক জার্নি শুরু হয় কানহাইয়ার। এত দেরীতে কেন? কানহাইয়া জানিয়েছেন, ‘দেরী হয়েছে মানছি। যে দলটার দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, তাঁদের আরও শক্ত হতে হবে। যারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা নিতে ও জীবন গড়তে বিজেপিতে যাচ্ছে। দেশের কাজের জন্য কংগ্রেসেই আসতে হবে। কংগ্রেসের সমালোচনা করলে বা ক্ষতি করলে বিজেপির সুবিধা। দেশের সর্ববৃহৎ দল কংগ্রেস। বিজেপির সঙ্গে লড়তে গেলে একজোট হয়ে লড়াই চালাতে হবে। বাকি যারা বিজেপি বিরোধী দল রয়েছে সবাই আঞ্চলিক দল। এটাই মূল সমস্যার কারণ, কংগ্রেস কিন্তু সর্ববৃহৎ দল ও জাতীয় দল। তাই কংগ্রেসে একাই পারে বিজেপিকে হারাতে। যদি সেটা সম্ভব না হত তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম, খামোখা কংগ্রেসে আসতাম না।’
রাহুল গান্ধি প্রসঙ্গেও বেশকিছু কথা বলেছেন কানহাইয়া কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেসের যোগদান করেই রাহুল গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করি আমি। সবসময় মায়ের শরীর বাবার চিকিৎসা নিয়ে খোঁজ করছিল। রাহুল একজন সাদামাটা নেতা, এটাই পছন্দ আমার। তবে রাজনীতিতে খুবই দক্ষ ও মনোযোগী, ভয় পায় না কাউকে। সত্যিটা বলে সবসময়।’