নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে কোন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা হল, তা রহস্যই থেকে গেল। কেননা, বৈঠকের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা হয়নি। সোমবার সংসদের অ্যানেক্স ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরাহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন সন্ধে সাড়ে ছয়টা থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পৌনে সাতটা নাগাদ শুরু হয় বৈঠক। প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে চলে।
অন্যদিকে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার সময়ে লোকসভা ও রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদ সেন্ট্রাল হলে জড়ো হবেন। সেন্ট্রাল হলে শেষ বার মিলিত হওয়ার স্মৃতি ধরে রাখতে বিশেষ ফটোসেশনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই ফটো সেশন শেষে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা বেজে ৩৫ মিনিট সেন্ট্রাল হলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ওই অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধান নিয়ে হেঁটে পুরনো ভবন থেকলে নতুন ভবনে যাবেন। তাঁর সঙ্গে পা মেলাবেন সব সাংসদ।
সোমবার থেকেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। পাঁচদিন ধরে চলবে অধিবেশন। মোট আটটি বিল পেশ করা হবে। যদিও বিরোধীদের চাপের মুখে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল পেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার পক্ষ। এদিনই সংসদের পুরনো ভবনে শেষ বারের মতো বসেছিল লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে নয়া সংসদ ভবনেই বসবেন সাংসদরা। অর্থাৎ ইতিহাসের পাতায় চলে গেল সংসদের পুরনো ভবন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়াবে পুরনো ভবন। এদিন সংসদের পুরনো ভবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথাও স্মরণ করেন। কীভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা দেশ আর দেশবাসীর স্বার্থে কাজ করে গিয়েছেন তা বলতে গিয়ে এক সময়ে মোদির গলাও ধরে আসে।