নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্ত্রীকে খুনের দায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চিত্রশিল্পী চিন্তন উপাধ্যায়ের। স্ত্রী হেমা উপাধ্যায়ের সঙ্গে শিল্পীর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। স্ত্রী ও তাঁর আইনজীবী হরিশ ভাম্বানিকে ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর হত্যা করেন শিল্পী। তাঁদের মৃতদেহ একটি কাঠের বাক্সে রেখে মুম্বই এর কান্দিভালি এলাকার একটি খাদে ফেলে দিয়েছিলেন।
এই হত্যার অভিযোগে অপর তিন অভিযুক্ত টেম্পো ড্রাইভার বিজয় রাজভার, প্রদীপ রাজভার, শিবকুমার রাজভারকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক এস ওয়াই ভোসলে এই নির্দেশ দেন। ৫ অক্টোবর আদালত চিন্তন উপাধ্যায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
গত শনিবার শুনানি চলাকালীন চিন্তন উপাধ্যায় কোন অপরাধ করেননি বলেই জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার হৃদয় স্বচ্ছ। আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তবে আদালত আমাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আমি কোনো করুণার আবেদন করছি না। আদালত যা সাজা দেবে, আমি মেনে নেব। আমি আইনে বিশ্বাস করি এবং আমি বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি”।
এই জোড়া খুনের মামলায় চিত্রশিল্পীকে ২০১৫ সালেই গ্রেফতার করা হয়। হেমা উপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এই খুন বলে স্বীকার করেন অভিযুক্তেরা। শিল্পী বিদ্যাধর রাজভরও এই হত্যায় জড়িত। ঘটনার পর থেকেই তিনি এখনও পলাতক।