নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ার আন্দোলনের অন্যতম সারথি ছিলেন তিনি। দেশে হিন্দুত্বের আবেগে সুড়সুড়ি দিতে রামরথও বের করেছিলেন। এক সময়ের হিন্দুত্বের পোস্টার বয় এবং বিজেপির লৌহমানব হিসাবে পরিচিত লালকৃষ্ণ আদবানি বর্তমানে বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সহকারী ছাড়া চলাফেরাই করতে পারেন না। কিন্তু সেই অশক্ত শরীর নিয়েই আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন তিনি। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবেন। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, অসুস্থ শরীর নিয়ে যেহেতু আদবানিজি অযোধ্যায় যাচ্ছেন, তাই তার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব পরিষেবা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। তবে রামমন্দির আন্দোলনের আর এক সৈনিক তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা মুরলীমনোহর যোশি প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিবসে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি।
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশির মতো দুই বর্ষীয়ান নেতাকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রায়। আর তার ওই আচরণে বেজায় চটে গিয়েছেন আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শীর্ষ নেতারা। আদবানি ও মুরলী মনোহরের মতো রামমন্দির আন্দোলনের দুই সেনানির সঙ্গে এমন ব্যবহার মানতে পারেননি তাঁরা। চম্পত রাইয়ের মন্তব্যের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আদবানির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্ব। বিজেপির প্রবীণ নেতার হাতে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। আদবানির সঙ্গে দেখা করে দাবি করেছিলেন, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রাজি হয়েছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা।