এই মুহূর্তে




মনভরে দেখুন মহাপ্রভুর স্নান, আর হবে না পুনর্জন্ম




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : আজ বুধবার (১১ জুন) মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথের স্নান যাত্রা। প্রতিবারের মত সকাল থেকেই পুরীর শ্রীমন্দিরে অগণিত ভক্তের ভিড়। জগন্নাথের সেবায়েতরা তাঁদের তিন জনের বিগ্রহকে গর্ভগৃহ থেকে শুভ ক্ষণ দেখে নিয়ে চলে এসেছেন স্নান বেদিতে। পাণ্ডারাও প্রত্যেকে যথেষ্ট ব্যস্ত। জ্যৈষ্ঠের খরতাপে যখন চারিদিক পুড়ছে সেই জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিনে মহাপ্রভু ১০৮ কলস জল দিয়ে স্নান করেন। যে স্নান জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা নামে পরিচিত। আর জগন্নাথ দেবের সেই পবিত্র স্নানযাত্রার তিথিটিই হচ্ছে জৈষ্ঠ্য পূর্ণিমা বা দেবস্নানা পূর্ণিমা। কথিত আছে, স্কন্দপুরাণ মতে পুরীর মন্দির প্রতিষ্ঠার পর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই স্নানযাত্রার প্রচলন করেছিলেন।

আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে পবিত্র দেবস্নান। জানা যায়, এই জল মন্দির চত্বরে একটি পবিত্র কূপ থেকে আহরণ করা হয় এবং তা বৈদিক মন্ত্রে শুদ্ধ করা হয়। স্নানের পর দেবতাদের সাজানো হবে গজাননবেশে, অর্থাৎ হাতি বেশে। এই গজবেশে দেবতাদের দর্শনকে অত্যন্ত পুণ্যফলদায়ী বলে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস, এদিন স্নানযাত্রার দর্শন পেলে জন্মজন্মান্তরের পাপ মোচন হয় এবং জীব মুক্তির পথ খুঁজে পায়। পঞ্জিকা মতে সকাল ১১টা ৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে মহাপ্রভুর স্নান শুরু হবে এবং চলবে দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।

মহামুনি বেদব্যাসের পরম শিষ্য জৈমিনি ঋষি এই স্নানযাত্রার মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন—

“যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে স্নানযাত্রার দর্শন করে, তাঁকে আর মাতৃগর্ভে জন্ম নিতে হয় না। সে ভবসাগর থেকে উদ্ধার পায়।”

তিনি আরও বলেন— “এই স্নানযাত্রার দর্শন একবার করলে তীর্থে স্নানের চেয়েও শতগুণ বেশি ফল লাভ হয়। এতে কোনও সংশয় নেই।”

স্কন্দ পুরাণে বর্ণিত— “জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় শ্রী হরির স্নানযাত্রা যদি কেউ একবারও ভক্তিভরে দেখে, তবে তার সংসার বন্ধন কেটে যায় এবং সে চিরকাল শোকমুক্ত থাকে।”

নিঃসন্দেহে বলাযেতে পারে, স্নানযাত্রা কেবল এক ধর্মীয় আচার নয়, বরং এটি একটি আত্মশুদ্ধির যাত্রা। এই দিন শুধুমাত্র পুরীর নয়, সমস্ত বৈষ্ণব সমাজের জন্য একটি পুণ্যময় তিথি। দেবস্নানা পূর্ণিমার এই শুভক্ষণে যাঁরা জগন্নাথদেবের দর্শন লাভ করেন, তাঁদের জীবনে আসে আধ্যাত্মিক আলোক। এই দিন প্রতিটি ভক্তের হৃদয়ে জেগে ওঠে ভক্তি, নিরহঙ্কারতা এবং পরম মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। স্নানযাত্রা তাই চেতনার উৎসব—পরমেশ্বরের স্পর্শে পাপমুক্ত জীবনের আহ্বান।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উপনির্বাচনে মোদি-শাহের খাসতালুকে জোর ধাক্কা খেল বিজেপি

ক্যান্সারে আক্রান্ত দিদিমাকে আবর্জনার স্তূপে ফেলে রেখে গেল অমানুষ নাতি, এরপর……

‘যাও গিয়ে জুতো সেলাই করো’, পাইলটকে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যে অভিযুক্ত ইন্ডিগোর তিন কর্তা

দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তিন বিধায়ককে দল থেকে তাড়াল সমাজবাদী পার্টি’

পেট্রল-ডিজেলের দিন শেষ, এবার গাড়ি চলবে সৌর জ্বালানিতে

Ambubachi 2025: জানেন কী, দেবী কামাখ্যার ছ’টি মুখ কিসের প্রতীক?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ