নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতির চমকপ্রদ উন্নতি। একদিকে যেমন কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই মৃত্যুহীন থেকেছে মারাঠাভূমি। আর তাই আগামী ২ এপ্রিল থেকে সমস্ত করোনা বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। এমনকি মাস্ক পড়াও আর বাধ্যতামূলক রইল না এই রাজ্যে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট ৭০০ থেকে ৮০০টি কোভিড কেস রয়েছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে শনাক্তের হার মাত্র ৪ শতাংশ। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের সাথে পরামর্শ করে আগামী ২ এপ্রিল থেকে সমস্ত করোনার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২ এপ্রিল যেদিন গুড়ি পাদওয়ার অনুষ্ঠান, সেদিন থেকেই মহামারী আইন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রত্যাহার করা হবে।
তবে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এতদিন পর্যন্ত মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে ওঠার জন্য মাস্ক পরার যে নিয়ম বাধ্যতামূলক ছিল, তা আর বহাল থাকছে না। তবে সমস্ত লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের করোনার টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত করোনাবিধি উঠে যাচ্ছে মানে এই নয় যে মানুষ বেলাগাম জীবনযাপন করতে শুরু করবে। করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পড়ুন, সামজিক দূরত্ব মেনে চলুন এবং যত দ্রুত সম্ভব করোনার টিকা নিন।’
একই ঘোষণা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকেও। করোনা বিধি তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে টুইটারে লেখা হয়, ‘গুড়ি পাদওয়ার পুণ্য তিথিতে এক নতুন বছরের সূচনা করতে সমস্ত করোনার বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হল।’ উল্লেখ্য, গুড়ি পাদওয়া হল একটি জনপ্রিয় মারাঠি উৎসব। মারাঠিদের বর্ষবরণের দিনে এই গুড়ি পাদওয়া অনুষ্ঠানটি পালিত হয়।
একই ভাবে জানা যাচ্ছে, দিল্লি প্রশাসনও প্রকাশ্যে মাস্ক না পরার জন্য যে জরিমানা চালু করেছিল তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের মতো দিল্লিতেও আর বাধ্যতামূলক রইল না মাস্ক পরা। এতদিন পর্যন্ত দিল্লি মেট্রোতে বিনা মাস্কে উঠলে জরিমানা দিতে হত সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এরপর থেকে আর সেই জরিমানা নেওয়া হবে না জানিয়েছে দিল্লি প্রশাসন।