নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জি-২০ সম্মেলনে আসা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে আগামিকাল শনিবার নৈশভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মুকেশ আম্বানি-গৌতম আদানি-সহ বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিরা ওই নৈশভোজে আমন্ত্রণ পেলেও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ‘ব্রাত্য’ থেকে গিয়েছেন। অর্থাৎ তাঁকে নিমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্যটুকু দেখাননি বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী তথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর তা নিয়েই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কংগ্রেস সভাপতিকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য অবশ্য ছেঁদো যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সচিব এবং শিলপপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধানকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু ওই যুক্তি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। কেননা, মল্লিকার্জুন খাড়গে শুধুমাত্র দেশের প্রধান বিরোধী দলের সভাপতিই নন, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাও বটে। আর রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা পদটি পূর্ণমন্ত্রী পদমর্যাদার।
তবে খাড়গে আমন্ত্রণ না পেলেও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জাসনানোর সৌজন্য দেখিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি ঘনিষ্ঠ জেডিএস সুপ্রিমো এইচডি দেবেগৌড়া। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি আয়োজিত নৈশভোজে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন,পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীস কুমার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তবে চার কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, সিদ্দিরামাইয়া, ভূপেশ বাঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু নৈশভোজে থাকার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।