নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সব জল্পনার অবসান। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসনে বিজেপির কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র বিক্রমাদিত্য সিংহ। বর্তমানে ওই আসনের সাংসদ বীরভদ্র পত্নী প্রতিভা সিংহ। কিন্তু তিনি নিজে দাঁড়িয়ে ছেলে বিক্রমাদিত্যকে প্রার্থী করার সুপারিশ করেছিলেন। সেই সুপারিশই মেনে নিয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
শনিবার পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী সমিতি। ওই বৈঠকে ওড়িশা, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশের ১৬টি আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়ে প্রার্থী করা হয়েছে মনমোহন সিং জমানার তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারিকে। দীর্ঘ ২৫ বছর বাদে ওই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী বদলের পথে হাঁটল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। এতদিন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পবন বনশলকেই প্রার্থী করা হতো। যেহেতু এবার চণ্ডীগড়ের বিদায়ী সাংসদ অভিনেত্রী কিরণ খেরকে প্রার্থী করেনি বিজেপি, তাই ওই আসন পুনরুদ্ধারে মণীশের মতো দাপুটে নেতাকেই প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার কেওনঝড়ে প্রার্থী হয়েছেন মোহন হেমব্রম। ভুবনেশ্বরে প্রার্থী করা হয়েছে সুচরিতা মহান্তিকে। পুরীতে দাঁড়িয়েছেন ইয়াসির নওয়াজ। ঢেঙ্কানলে সুস্মিতা বেহরা। ভদ্রকে অনন্তপ্রসাদ শেঠি। জগৎসিংপুরে রবীন্দ্র কুমার শেঠি। কেন্দ্রপাড়ায় দাঁড়সিদ্ধার্থ স্বরূপ দাসকে। বালাসোরে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয মন্ত্রী শ্রীকান্ত জেনা। জাজপুরে প্রার্থী হয়েছেন আঁচল দাস। গুজরাতের মেহসানায় দাঁড় করানো হয়েছে রামজি ঠাকুরকে। আমেদাবাদ পূর্ব আসনে প্রার্থী হয়েছেন হিম্মত সিং পটেল। রাজকোট আসনে পরেশভাই ধানানি। নবসারি আসনে নৈশাদ দেশাই। হিমাচল প্রদেশের সিমলা আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বিনোদ সুলতানপুরীকে।