নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধির নির্দেশে গতকাল অর্থাৎ বুধবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু। গত ১০ মার্চ পঞ্জাবসহ দেশের ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে বড়সড় রদবদল হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুর অর্থাৎ যে ৫ রাজ্যে সদ্য শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন এবং তাতে লজ্জার হার হেরেছে কংগ্রেস সেই পাঁচ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে অপসারণ করা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সিধুও। কিন্তু ইস্তফার পরের দিন কংগ্রেস দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের বিতর্কে সিধু।
বৃহস্পতিবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন সিধু। যেখানে তাঁকে পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে। এদিন টুইটারে মান প্রসঙ্গে সিধু লেখেন, ‘সবচেয়ে সুখী মানুষ সেই ব্যক্তি যার কাছ থেকে কেউ আশা করে না। ভগবন্ত মান পঞ্জাবে একটি নতুন মাফিয়া-বিরোধী যুগের প্রত্যাশার পাহাড় উন্মোচন করেছেন। আশা করি তিনি এই উপলক্ষ্যে সফল হবেন এবং পঞ্জাবকে পুনরুজ্জীবনের পথে ফিরিয়ে আনবেন। কারণ জনগণের নীতিই সর্বদা সেরা।’ কংগ্রেসের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকে ইস্তফা দিলেও সিধু এখনও কংগ্রেসের একজন বিশিষ্ট নেতা। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেসের আর এক বিশিষ্ট নেতা তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে ঠুকে মানের এমন ভূয়সী প্রশংসা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলেছে জাতীয় কংগ্রেসকে।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর শেষ থেকেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন সিধু। প্রথমে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং পড়ে তাঁর পদত্যাগের পরে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা চরণজিৎ সিং চন্নি, প্রত্যেকের সঙ্গেই প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছেন সিধু। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগেই চান্নিকে একাধিকবার মাফিয়া বলেও কটাক্ষ করেছেন সিধু। দলের মধ্যেকার এই চাপানউতোর প্রত্যক্ষভাবে দায়ী বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য, এমনটাই মত অধিকাংশ রাজনীতিবিদদের। আর তাই রাতারাতি সিধুকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও সিধুকে বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখা যায়নি।