নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীনই গত শনিবার রাতে খুন হয়েছিলেন বাহুবলী নেতা আতিক আমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফ। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। অবশেষে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা বাদে ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠল মোদি জমানায় কার্যত নিস্ক্রিয় হয়ে পড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সমালোচনার মুখে পড়ে মঙ্গলবার বিকেলেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও প্রয়াগরাজের পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করল। তাও চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিশকে ‘আইওয়াশ’ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছে নিহত আতিকের পরিবারের সদস্যরা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। যিনি বিচারপতি থাকাকালীনই বেনজিরভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভজনা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মোদি ভজনার পুরস্কার হিসেবেই অবসরের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। গত কয়েক বছরে দায়িত্ব নিয়ে সাংবিধানিক সংস্থাকে বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিনথ করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলি যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে পান থেকে চুন খসলে নজিরবিহীন তৎপরতায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে। অথচ বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ একাধিক এনকাউন্টার (অধিকাংশই ভুয়ো এনকাউন্টার বলে অভিযোগ) হলেও কুম্ভকর্ণের মতোই ঘুমিয়ে থাকেন। এবারেও আতিক আমেদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘ ৭২ ঘন্টা বাদে জেগে উঠেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন।