নিজস্ব প্রতিনিধি, ভুবনেশ্বর: দুই শিবিরে শীর্ষ পর্যায়ের তরফে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। ওড়িশায় যাতে হাতে হাত মিলিয়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে লড়া যায়, সেই চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হল না। বিজেপির দাদাগিরি মুখ বুঝে মেনে নেননি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মতো হাঁটু গেড়ে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। ফলস্বরূপ শুক্রবার দুপুরে ওড়িশায় একা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি মনমোহন শামল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘সাড়ে চার কোটি ওড়িশাবাসীর আশা, আকাঙ্খা পূর্ণ করার উদ্দেশে টভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যের ২১টি লোকসভা এবং ১৪৭টি বিধানসভা আসনে একলা লড়বে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ‘বিকশিত ভারত’ এর মতোই ‘বিকশিত ওড়িশা’ গড়ে তোলার লক্ষ্য পূর্ণ করা হবে।’ ১৪ বছর আগে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও গত ১০ বছরে বার বার সংসদের দুই ক্ষে মোদি সরকারের ‘পরিত্রাতা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে নবীন পট্টনায়কের দল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন্সহ একাধিক বিতর্কিত আইন পাশ করানোর ক্ষেত্রে বিজেপিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিজেডি সাংসদরা। কার্যত এনডিএ’র সঙ্গে না থেকেও বিজেপির পরম বান্ধবের ভূমিকাই পালন করে চলেছেন বিজু পট্টনায়কের পুত্র।
গত মাসখানেক ধরেই জোট বেঁধে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে লড়াই করার বিষয়ে আলোচনা চলছিল বিজেপি ও বিজেডি শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। সূত্রের খবর, জোট বাঁধার শর্ত হিসাবে ওড়িশার ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৪টির দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতারা। বিনিময়ে ১৪৭টি আসনের মধ্যে ১২১টি আসন বিজেডিকে ছাড়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব মানতে রাজি হননি নবীন।