নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘ভৃত্যগিরি’ কারে কয়, বুঝিয়ে দিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা। আজ শুক্রবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ‘প্রভু’র অনুষ্ঠান সফল করতে জানপ্রাণ লড়িয়ে দিচ্ছেন হিন্দু কলেজ, ভীম রাও আম্বেদকর কলেজ, জাকির হুসেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। মোদির জ্ঞান ভাষণ শোনার জন্য সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্লাস বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাছে ‘প্রভু’র অপমান হয়, তাই কালো পোশাক পরিধানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আজব নিদান নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ওই অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। একাধিক শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন মোদির অনুষ্ঠান বয়কট করার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু ‘প্রভু’র অনুষ্ঠান সফল করতে কোমনর কষে ঝাঁপিয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ। পড়ুয়াদের লেখাপড়া শিষকেয় তুলে জোর করে ভাষণ শোনানোর মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিন্দু কলেজের টিচার ইন চার্জ মিনু শ্রীবাস্তব এক নির্দেশিকায় কলেজে প্রচারিত প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ শুনতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন। আর তার জন্য পড়ুয়াদের ঘুষ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে সব পড়ুয়া মোদির জ্ঞানগর্ভ ভাষণ শুনবেন তাদের বাড়তি পাঁচদিনের হাজিরা মিলবে। সকাল ৮.৫০ থেকে নয়টার মদ্যে কলেজ চত্বরে প্রবেশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিন্দু কলেজের এমন নির্দেশ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।