নিজস্ব প্রতিনিধি : লোকসভা ভোট শুরু হতে আর ২ সপ্তাহও বাকি নেই। এখনও পর্যন্ত ভোটের উত্তাপ পৌঁছোয়নি হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে। বিজেপি বা কংগ্রেস কোনও দলের নেতাদেরই নির্বাচনী প্রচারে আসতে দেখা যাচ্ছে না। পরিবর্তে বাড়ি বাড়ি নির্বাচনী প্রচারেই নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন প্রার্থীরা।
সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে জোরকদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। নির্বাচনী প্রচারে ইতিমধ্যে অংশ নিয়েছেন শাসক-বিরোধী বিভিন্ন দলের প্রথম সারির নেতারা। কিন্তু মণিপুরে কিন্তু অন্য চিত্র। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রচারের ওপর কোনও বিধিনিষেধ না থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলির তরফে বড় কোনও নির্বাচনী সভা দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির প্রচারকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেউই মণিপুরে কোনও নির্বাচনী প্রচার করেননি। শুধু বিজেপিই নয়, কংগ্রেসের তরফেও সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা মণিপুরে নির্বাচনী প্রচার করতে আসেনি।
তবে জানা যাচ্ছে মণিপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা নির্বাচনী প্রচার করতে অভিনব উপায় বের করেছে। বিজেপি, কংগ্রেস বা রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার প্রার্থীদের তাঁদের বাড়িতে মিটিং করতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের দলের কর্মী সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারছেন। আ়্ঞ্চলিক দল রিপাবলিকার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার প্রার্থী মহেশ্বর তাওনাওজাম জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট দানের গুরুত্ব কতটা সেটা মণিপুরের ভোটাররা বোঝে। বড় বড় জনসভা করার থেকে ঘরে ঘরে প্রচার করাই ভালো। এর ফলে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোনো যায়।
জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের অনগোমচা বিমল আকোইজাম নিজের বাড়িতেই সভা করছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে পোস্টাররাও। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার পোস্টার ইম্ফলের পার্টি অফিসের বাইরে লাগানো হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতারাও নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে বেশি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরির পক্ষপাতী হয়। মণিপুরে বিজেপির সভাপতি এ সারদা দেবী জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা কখনও কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাই না। নির্বাচন হচ্ছে আমাদের কাছে উৎসবের মতো। তাই আমরা বিশাল শোরগোল করে নির্বাচনী প্রচার সারতে চাই না।‘ উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় মণিপুরে নির্বাচন রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তাতে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন এগিয়ে এলেও পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়নি।
